বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন

রাণীশংকৈলে বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানীর অভিযোগ

রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি॥ ঠাকুরগায়ের রাণীশংকৈল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার এহতেশামুল হক ও সহকারী জুনিয়র প্রকৌশলী আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানী ও অনিয়ম দূর্নীতির লিখিত অভিযোগ হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের প্রধান কার্যালয় বরাবরে।

এ লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শাহানাজ পারভীন রমজান আলী ইলেকট্রিশিয়ান ও আমিরুল ইসলাম। মহাব্যবস্থাপক বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বরাবর করে অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী অফিসার দুদক প্রেস ক্লাব বরাবরে।

মঙ্গলবার পাওয়া অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পৌর শহরের বাসিন্দা শাহনাজ পারভীনের নিকট ৩ অক্টোবর নগদ আট হাজার টাকা নতুন মিটার দেওয়ার কথা বলে নেয় সহকারী জুনিয়র প্রকৌশলী আব্দুর রহিম। অথচ মিটার না দিয়ে হয়রানী করছে। এছাড়াও আমজুয়ান গ্রামে বিদ্যুত লাইনের ট্রান্সফরমা অনিয়মভাবে পরিবর্তন করে দিয়ে নগদ চল্লিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেও অফিসিয়াল কোন রশিদ না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কি সম্প্রতি ৪র্থ উন্নয়ন মেলার ষ্টল খরচ ইলেকট্রিশিয়ানদের নিকট হতে চাঁদা আকারে আদায় করে মেলা করলেও অফিসিয়াল ভাবে আটারো হাজার টাকার ভাউচার দেখানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে বলে অভিযোগে উল্লেখ্য রয়েছে। যা নিরপেক্ষ তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন অভিযোগকারীরা। এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার মুঠোফোনে বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার এহতেশামুল হক, এ ধরনের অভিযোগ থাকলে তিনি এ প্রতিবেদকেই উল্টো তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।

প্রতিবেদকের অনুসন্ধান

বছর তিনেক হলো রানীশংকৈল সাব-জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিস পৌর শহরের রানীশংকৈল-নেকমরদ মহসড়াকের সন্দারই নামক গ্রামে কার্যক্রম চালু করেছে। কার্যক্রম চালু করার পর থেকেই দায়িত্বে রয়েছেন এজিএম এহতেশামুল হক ও জুনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম। এহতেশামুল হকের বিরুদ্বে অভিযোগ তিনি সাবেক এলাকা পরিচালক নাসির উদ্দীনের সাথে আতাত করে সরকারী লাইন নিমার্ণে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। রানীশংকৈল উপজেলায় সরকারী খরচায় যতগুলো লাইন এ যাবৎ নির্মান হয়েছে বা নির্মাণের কার্যক্রম চলছে সবগুলোতেই মিটার প্রতি সর্বনিম্ন ৫/৬ হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী অফিসিয়াল খরচ আবাসিক মাত্র ৪৫০ টাকা বলে জানা যায়। টাকা আদায়ের অভিযোগ এজিএম বরাবরে দিলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে, সহকারী জুনিয়র প্রকৌশলী আব্দুর রহিম তিন বছরে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বুনে গেছেন। কিছু ইলেকট্রিশিয়ানের সাথে আতাত করে নিয়ম অনিয়মের কাজ করে লুটে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এসেছিলেন খালি হাতে এখন হাকিয়ে বেড়ান দামী মোটরসাইকেলে। ট্রান্সফরমা বদল নতুন লাইন নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়ের কাজ থাকে তার দপ্তরে সেগুলো তিনি উৎকোচ ছাড়া করেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। নতুন মিটার সংযোগ স্থাপনে সিরিয়াল বজায় রাখার দায়িত্ব তার হওয়ায় তিনি গ্রাহকদের জিম্মি করে মিটারটি লাগিয়ে দেওয়ার জন্যই অফিসে বসেই নেন নগদ পাচঁশত টাকা। আর যারা মিটারটি স্পটে লাগাতে যাবেন তাদের তো বকশিস আছেই। বকশিস না দিলে বহু সমস্যা দেখিয়ে মিটার ঘুরিয়ে নিয়ে আসারও নজির রয়েছে বিদ্যুৎ অফিসের লাইন ম্যানদের। এভাবেই চলছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কার্যক্রম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com